বাংলাদেশের দক্ষিনাঞ্চলের বিভাগীয় সদর জেলা বরিশাল। এর পূর্বনাম ছিল চন্দ্রদ্বীপ।ধান নদী খালের এই জেলা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) এর বরিশাল জোনের অধীন বরিশাল সড়ক বিভাগ নামে ১৯৬২ সনে প্রতিষ্ঠিত হয়। এ সড়ক বিভাগে বরিশাল সড়ক উপ-বিভাগ-১, বরিশাল সড়ক উপ-বিভাগ-২, ও ১ম সারি কারখানা উপ-বিভাগসহ ৩টি উপ-বিভাগ রয়েছে। এ সড়ক বিভাগের আওতায় মোট সড়ক ১৮টি রয়েছে।সড়কের মোট দৈর্ঘ্য ৩৭২.৭১ কি:মি:। তম্মধ্যে ৩টি জাতীয় মহাসড়ক, দৈর্ঘ্য ৯৮.১০ কি:মি:, ২টি আঞ্চলিক মহাসড়ক, দৈর্ঘ্য ২১.২৭ কি:মি: এবং ১৩টি জেলা সড়ক, দৈর্ঘ্য ২৫৩.৩৪ কি:মি:। সড়ক সমূহ বরিশাল জেলার ১০টি উপজেলায় বিস্তৃত। অত্র সড়ক বিভাগাধীন ঢাকা (যাত্রাবাড়ি)-মাওয়া-ভাঙ্গা-বরিশাল-পটুয়াখালী (এন-৮) জাতীয় মহাসড়কটি ৪-লেন এ উন্নীতকরণ কার্যক্রম চলমান। ঢাকার সাথে মুন্সীগঞ্জ পদ্মা সেতু হয়ে দেশের দক্ষিন ও দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের সাথে যোগাযোগের মাইল ফলক।বরিশাল জেলা নদী বেষ্টিত হওয়ায় নিরবিচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের জন্য বরিশাল সড়ক বিভাগাধীন ৭(সাত)টি ফেরী ঘাট রয়েছে। আরো ৩(তিন)টি ফেরীঘাট স্থাপন প্রক্রিয়াধীন।
মাননীয় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী, স্থানীয় সংসদ সদস্য, স্থানীয় প্রশাসন এবং স্থানীয় জনগণ এর সার্বিক সহযোগীতায় বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী (এডিপি) এর আওতায় বর্তমান সরকারের গৃহীত উন্নয়ন কার্যক্রম সমূহের সফল বাস্তবায়নের ফলে বরিশাল সড়ক বিভাগের আওতাধীন সড়ক অবকাঠামোর অবস্থা বর্তমানে উন্নতর ও যুগোপযোগী হয়েছে। সড়ক অবকাঠামো নিরাপদ, সাশ্রয়ী ও আরো উন্নতর করার লক্ষ্যে অত্র দপ্তরের কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছে এবং আশা করা যায় অদুর ভবিষ্যতে অত্র জেলার সড়ক অবকাঠামো সমগ্র বাংলাদেশের সব জেলার মধ্যে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে করবে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস